ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার নেপথ্যে নায়ক ছিলেন জিয়াউর রহমান -রামুতে এমপি কমল

নীতিশ বড়ুয়া, রামু ::  কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য, তথ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, আগষ্ট মাস বিশ^ রাজনীতির শোকের মাস। ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার নেপথ্যে নায়ক ছিলেন জিয়াউর রহমান। বিশ^ রাজনীতিতে যত হত্যাকান্ড হয়েছে ১৫ আগষ্টের হত্যাকান্ড সবচেয়ে নির্মম ও ঘৃণ্য। বেঁচে থাকলে এ মামলায় জিয়াউর রহমানেরও ফাঁসি হতো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া খুনিদের ইমডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি খুনিদের রাস্ট্রীয় পদেও চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। আবার প্রধান খুনিদের বিদেশে পালিতে যেতে প্রকাশ্যে সহযোগিতা করেছেন। শোকাবহ আগষ্টেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারি জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের পরিকল্পনায় ২১ আগষ্ট গেনেড হামলার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। বর্বরোচিত সেই হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ অনেকের নির্মম মৃত্যুর রক্তাক্ত স্মৃতি এখনো মানুষ ভুলতে পারেনি। অবিলম্বে ২১ আগষ্টের গেনেড হামলার মুল আসামী তারেক রহমানকে দেশে এনে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি।

রামুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ২১ আগস্ট গেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি এসব কথা বলেন।

এমপি কমল আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের প্রয়োজনে বাঁচাতে হবে। দেশ এখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতি, অবকাঠামোসহ সর্বক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দোসর। এদের জাতি প্রত্যাখান করেছে। এদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

রামু উপজেলা ওলামা লীগের সহ সভাপতি মৌলানা জমির উদ্দিনের কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার ফরিদ আহমদ। রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, জেলা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি আনসারুল হক ভুট্টো ও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আজিজুল হক আজিজের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা রামু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক রেজা, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কবির মেম্বার, খুনিয়াপালং এর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গণি সওদাগর, কবি কাজী মোহাম্মাদ আলী, নুরুল হক, হাজ্বী নুরুল কবির, চাকমারকুলের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, ফতেখাঁরকুলের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, খুনিয়া পালং এর চেয়ারম্যান সাংবাদিক আব্দুল মাবুদ, ঈদগড়ের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো, দক্ষিন মিঠাছড়ির চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভুট্টো, ফতেখাঁরকুলের সাবেক সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হক কোং, রাজারকুলের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, কচ্ছপিয়ার চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান, কাউয়ারখোপের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুশ শুক্কুর, জহির উল্লাহ সিকদার, মো. ইয়াহিয়া চৌধুরী, রামু ব্রাদার্স ইউনিয়নের সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগ নেতা নবু আলম, জেলা যুবলীগ নেতা পলক বড়–য়া আপ্পু, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, রামু উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া, যুবলীগ নেতা সাহাদত হোসেন, নবিউল হক আরকান, জেলা তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি আনসারুল হক ভুট্টো, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও সাংসদ কমলের একান্ত সচিব মিজানুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিজানুল করিম, রামু উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি নুরুল আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, জাতীয় শ্রমিকলীগ রামু উপজেলার সভাপতি শফিকুল আলম কাজল, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ রামু উপজেলার সভাপতি মিজানুল হক রাজা, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বাবু, রামু উপজেলা ওলামালীগ সাধারণ সম্পাদক মৌলানা জামাল উদ্দিন আনসারী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ রামু উপজেলার সভাপতি আবু হানিফ, সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত পাল বাচ্চু, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম সোহেল, গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হাফেজ আহমদ, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক এম. সেলিম, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আজিম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আরিফ খান জয়, ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ নোমান, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সভাপতি একরামুল হাসান ইয়াছিন প্রমূখ।

সমাবেশে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত কক্সবাজার শহর স্বেচ্ছাসবেকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এবং রশিদনগর আওয়ামীলীগ নেতা মোবারক হোসেনের হাতে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সর্বস্তরের শত শত জনতা উপস্থিত ছিলেন।### ###

পাঠকের মতামত: